বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় আমাদের জমি বন্ধক রাখতে হয়। তখন আমাদের একটা
চুক্তিপত্র লেখা দরকার পড়ে।
অনেক সময় আমরা লিখতে পারিনা তখন বিভিন্ন লোকের কাছে দৌড়াইতে হয়। যাতে আপনার
চুক্তিনামা আপনি নিজেই লিখতে পারেন তার জন্যই আজকের ব্লগ।
আস্সালামু আলাইকুম! আশা করি আল্লাহ এর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়াই ভালো আছি। আজকের নতুন টপিকে আপনাকে স্বাগতম! আজকে আপনাদের দেখাবো জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম।
জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম
জমি বন্ধক রাখার জন্য নিচের ফরম্যাটে লিখুনঃ
চুক্তি নামা
তারিখঃ ৩১.০১.২০২২
গ্রহিতা পক্ষঃ
মোঃ ছবেদ মিয়া
পিতাঃ মৃত ছলিম উদ্দিন
সাং- জাগলা
ডাকঃ জাগলা
উপজেলাঃ মাগুরা সদর
জেলাঃ মাগুরা।
দাতা পক্ষঃ
আক্তার আলী
পিতাঃ আবুল মিয়া
সাং- মাঝগ্রাম
উপজেলাঃ মাগুরা
জেলাঃ মাগুরা।
আমি দাতা পক্ষ আক্তার আলী আমার টাকার বিশেষ
প্রয়োজন হওয়ায় অন্য কোনো উপায় না পাইয়া আমার
৩০ শতক আবাদি জমি যাহার মৌজাঃ
জাগলা, খতিয়ানঃ
১৫৩২ বন্ধক রাখার প্রস্তাবে গ্রহিতা পক্ষ
মোঃ ছবেদ মিয়া রাজি হন।
উক্ত জমির বিপরীতে ৭১,০০০ (একাত্তর হাজার) টাকা
একত্রে বুঝিয়া পেলাম। উক্ত জমি সর্বনিম্ন
২ বছর এবং যতদিন পর্যন্ত আমি টাকা ফেরত না দিতে
পারিবো ততদিন গ্রহিতা ছবেদ মিয়া জমি ভোগ করিবে।
উপস্থিত স্বাক্ষীগণের সামনে নিজ নামের সহি প্রদান করলাম।
______________
গ্রহিতার স্বাক্ষর
______________
দাতার স্বাক্ষর
স্বাক্ষীগণের নাম ও স্বাক্ষর
১। নামঃ
পিতার নামঃ
গ্রামঃ
ডাকঃ
উপজেলা + জেলাঃ
২। নামঃ
পিতার নামঃ
গ্রামঃ
ডাকঃ
উপজেলা + জেলাঃ
৩। নামঃ
পিতার নামঃ
গ্রামঃ
ডাকঃ
উপজেলা + জেলাঃ
৪। নামঃ
পিতার নামঃ
গ্রামঃ
ডাকঃ
উপজেলা + জেলাঃ
৫। নামঃ
পিতার নামঃ
গ্রামঃ
ডাকঃ
উপজেলা + জেলাঃ
এইভাবে কাগজে লিখে স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর গ্রহন করে কপি টি টাকা ও জমি আবার ফেরত
না পর্যন্ত সংরক্ষণ করুন।
এইভাবে খুব সহজে জমি বন্ধক নামা লিখতে পারবেন যদিও লেখার সময় লাল রং করা জায়গায়
সাবধানতার সাথে ঠিক করবেন।
সহজে জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম