আস্সালামু আলাইকুম! আশা করি আল্লাহ এর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়াই ভালো আছি। আজকের নতুন টপিকে আপনাকে স্বাগতম! আজকে জানাবো সিজারের পর কি কি সমস্যা হতে পারে।
এখনকারন বেশির ভাগই মা ই সিজার করে সন্তান জন্ম দেন। যদিও অনেক মা ই চান না সিজার হতে। তবে সিজারিয়ান যত টা ভালো আবার ততটাই খারাপ।
অনাকাঙ্ক্ষিত পজিশন ও বিভিন্ন জটিলতা থেকে রেহাই পেতে সিজার করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তারপরও এখন যে কোনো ডেলিভারিতেই সিজার করানো স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। যা আসলেই খারাপ লাগার বিষয়।
সাধারনত প্রাকৃতিক ভাবে যদি কোনো মা নরমাল ডেলিভারি এর মাধ্যমে সন্তান প্রসব করে তবে তার তেমন কোনো সমস্যাই থাকেনা।
তবে তা হয় সিজার তবেই যত সমস্যা।
সিজারের পর কি কি সমস্যা হতে পারে
নরমাল ডেলিভারি না হয়ে যদি সিজার করানো হয়, এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তা মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু সমস্যা নিয়ে কথা বলতেছি।
- প্রথম বাচ্চা সিজারিয়ান হলে পরের বাচ্চা গুলো নরমাল হওয়ার সম্ভবণা অনেক কমে যায়।
- মাকে যে এ্যানেস্হেসিয়া দেওয়া হয় সেই কারনে আরো সমস্যা হতে পারে।
- সিজার অপারেশন করতে গিয়ে অনেকসময় খাদ্যনালী সহ বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ প্রসাব ও খাবার নালীতে ইনজুরি দেখা দিলে তারাপর যদি বারবার সিজার হয় তবে সারাজীবন বড় সমস্যা মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করতে হয়।
- সিজার করলে তো কাটতেই হবে সেক্ষেত্রে আপনার কাটা থেকে হার্নিয়া হতে পারে।
- আবার কারোর সেলাই থাকা কালিন ইনফেকশন হয়। আবাই সেলাই করতে হয়।
- অনেকের সারাজীবন ই ব্যাথা থাকে। কোনো ভাব চাপ লাগলেই ব্যাথা পেতে হয়।
- অনেকের আবার সিজার হওয়ার পর এসিডিটি হয়।
- সিজার হলে বুকে দুধ আসতে অনেকটাই দেরি হয় এতে প্রথমে বুকের দুধ খেতে পারেনা নবজাতক শিশু।
- স্বাভাবিক প্রসবের পর যতটা ওজন কমানো সম্ভব হয় তা সিজার এর পর সম্ভব হয়না।
- অনেক সিজারিয়ান মা মনে করেন যে তিনি দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছেন।
- সিজারের আগে যে ইনজেকশন দেওয়া হয়, ওইটার কারনে অনেক মা বলে থাকেন, তার মেরুদণ্ড তে ব্যাথা হয়।
সোজা কথায় সিজারিয়ান বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর আপনার সারাজীবন ই কোনো না কোনো সমস্যার মধ্য দিয়ে পার হতে হবে।
সিজাইন কোনো প্রাকৃতিক কোনো নিয়ম না। তাই সাধারন কোনো ক্ষেত্রে সিজার না করানোই উচিৎ।।
এখন অনেকেই মধ্যেই খেয়াল করা যায়, তারা কোনো ভাবেই বুঝতে চায়না এবং ডাক্তারেরাও বুঝতে দেয়না।
বিভিন্ন ধরণের ভয়ে পড়ে সিজার এর পর বেছে নেওয়া হয়।
সিজারের পর কি কি খাওয়া যাবে
সিজার হওয়ার পর আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার পেটে যেন কোনো সমস্যা না হয়।
পেটে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যার কারনে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
তাই এমন কোনো খাবার খাবেন না যাতে আপনার পেটে গ্যাস্ট্রিক হয়। আর কোনো প্রকার ফাস্টফুড বা বাইরের খাবার অথবা প্রসেস ফুড খাবেন না
বেশি মশলা জাতীয় খাবার খাবেনা।
সিজারের পর ভারী কাজ
সিজারিয়ান অপারেশন এর পর ভারী কাজ সর্বনিম্ন ছয় থেকে ৮ সপ্তাহ বিরত থাকতে হবে।
তবুও অনেক সাবধারনতার সাথে কাজ করার অনুমতি দেওয়া যায়।
তবে যদি দেখেন যে আপনার দ্বারা বেশি কস্টকর মনে হচ্ছে তবে কখনই চেস্টা করবেন না। এতে সমস্যা হতে পারে।
সিজারের কত দিন পর সহবাস করা যাবে
নরমাল ডেলিভারি বাচ্চা হলে সাধারণত ৪০ দিন পর থেকেই আবার মাসিক শুরু হয়। চাইলে ৪০ দিন পর থেকে সহবাস শুরু করতে পারেন নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে।তবে যদিও সিজার এর ক্ষেত্রেও সাধারনত ৪০ দিন পর মাসিক শুরু হয় তবুও সাথেই সাথেই সহবাস না করাই উচিৎ। এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
তাই ৪০ দিনের ও বেশি সময় পরে আপনি স্বাভাবিক অবস্থা বুঝে সাবধানতার সাথে সহবাস শুরু করতে পারেন।
সব ঠিক ঠাক না থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই সাবধান থাকাটা অনেক জরুরী।
সিজারের পর কি কি সমস্যা হতে পারে এই আর্টিকেল টি পুরোটা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এই আর্টিকেল যদি বুঝতে অসুবিধা হয় অথবা কোনো প্রশ্ন থাকে তবে কমেন্ট করুন, আশা করি আপনি উত্তর পাবেন।আর নতুুন কিছু জানার থাকলে আমাদের জানান আমরা জানানোর চেস্টা করবো। এই আর্টিকেলটি WikiJana.Com সাইটের সম্পদ তাই যদি কেউ কপি করেন তবে আপনারা অবশ্যই ক্রেডিট দিবেন নয়ত আপনার সাইট কপিরাইটের অধিনে চলে যেতে পারে।