ভার্চুয়াল র্যাম কিঃ
ভার্চুয়াল র্যাম বলতে, র্যামের নির্দিষ্ট সীমা পার হবার পর র্যামের চাহিদা মেটাতে আপনার কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে র্যাম হিসেবে ব্যবহৃত জায়গাকে ভার্চুয়াল র্যাম বলা হয়।কম্পিউটারে যে র্যাম লাগানো হয় তাতে নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে।আপনার কম্পিউটার চালানোর সময় অনেক সময় বিভিন্ন সফটওয়ার চালু করার কারনে হটাৎ আপনার কম্পিউটার হ্যাং করে।কখন যে আপনার র্যামের সীমা পার হয়ে যাবে তা বুঝা যায় না অনেক সময়, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন হয় ভার্চুয়াল র্যামের।
কিভাবে কাজ করেঃ
আপনার ফিজিক্যাল র্যাম মেমোরি এর সীমাবদ্ধ জায়গা যখন শেষ হয়ে যায় তখন আপনার হার্ড ডিস্ক থেকে তার প্রয়োজন মতো জায়গা নিয়ে র্যাম হিসেবে কাজ করে।
ছবিতে লাল দেখানো অংশটি র্যাম হিসেবে বরাদ্ধকৃত ভার্চুয়াল র্যাম।ছবিতে দেখানোর মাধ্যমে বিস্তারিত বুঝা যাচ্ছে ফিজিক্যাল র্যাম ও হার্ড ডিস্কের সমন্নয়ে কিভাবে ভার্চুয়াল র্যাম কাজ করে।
কিভাবে সেট আপ করবেনঃ
আপনার র্যাম যত জিবি তার উপর হিসাব করে আপনার নির্দিস্ট সেটিংস এ গিয়ে সেই হিসাবটি বসিয়ে ওকে করে আপনার কম্পিউটার একবার রিস্টার্ট করলে ভার্চুয়াল মেমোরি অথবা র্যাম সেট আপ হয়ে যাবে।
কিভাবে সেট আপ করবেন তার জন্য সুন্দর করে একটা পোস্ট করা আছে আমাদের সাইটে এই লিংকে গিয়ে আপনি সেটা দেখতে পারেন।
RAM বাড়িয়ে নিন কম্পিউটারকে সুপার স্পিড করুন।
ভার্চুয়াল র্যামের সুবিধাঃ
- আপনার কম্পিউটার আগের তুলনার অনেক দ্রুত কাজ করবে।
- গেম সহ ভারি সফটওয়ার গুলো আগের তুলনায় দ্রত ব্যবহার করতে পারবেন।
- হ্যাং এর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
- কম্পিউটার অন অফ আগের তুলনায় দ্রুত হবে।
- হার্ডডিস্কের বিপরীতে এসএসডি ব্যবহার করলে তবে আরো স্পিড বেশি পাবেন।
ভার্চুয়াল র্যামের অসুবিধাঃ
- আপনার হার্ডডিস্কের কিছু জায়গা ব্যবহার করা যাবেনা
- র্যাম বাড়লেও আপনি কতটুকু র্যাম বাড়ছে তা আপনি দেখতে পাবেন না।
- আপনার হার্ড ডিস্কের স্পিড কম থাকার কারনে র্যামের মতো ওই পরিমান স্পিড পাবেন না।
আমার পোস্ট টি যদি কোথাও আপনি বুঝতে না পারেন অথবা কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে আমাদের পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন আমরা চেস্টা করবো আপনার সমস্যা সমাধান করতে।
ধন্যবাদ উইকি জানার সাথেই থাকুন । আল্লাহ হাফেজ।